Visitor Counter


hit counter

Translate

স্বপ্নের পেশা আউটসোর্সিং!

আগামীতে আউটসোর্সিং হবে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় আয়ের উৎস, কর্মসংস্থানের সবচেয়ে বড় যায়গা। তারপরও যারা এ কাজ করবেন তারা অনেকেই অন্ধকারে পরে আছেন। অর্থাৎ অনেকেই জানেন না ঠিক কি করবেন। কি যোগ্যতা প্রয়োজন হবে, কি কি যন্ত্রপাতি প্রয়োজন হবে, কি কাজ করতে হবে, কাজ কোথায় পাওয়া যাবে, কত টাকা পাওয়া যাবে, কিভাবে পাওয়া যাবে।
প্রথমেই একটা কথা জেনে নেওয়া ভাল। এখানে আপনাকে কাজ করার মানে হবে অর্থ উপার্জন। কাজেই আপনাকে কাজ করতে হবে, সে কাজ শিখতে হবে, অন্যদের সাথে প্রতিযোগিতা করতে হবে। কারণ আপনার দক্ষতা যত বেশি অর্থ উপার্জনের সুযোগ তত বেশি। যদি কাজ শিখতে এবং করতে পর্যাপ্ত আগ্রহ এবং চেষ্টা না থাকে তাহলে সময় নষ্ট না করাই ভাল। সহজে অর্থ উপার্জন বলে যা বুঝানো হয় তা আসলে বিষয়টা ততটা সহজ না। তাহলে চলুন শুরু করা যাক আমাদের মুল বিষয় আউটসোর্সিং নিয়ে।
আউটসোর্সিং কি ?
এটা আপনার অবশ্যই প্রথম প্রশ্ন হতে পারে। এর উত্তর হচ্ছে, বাড়িতে বসে অন্য কারো কাজ করা। রহস্যজনক কথা মনে হচ্ছে তাইনা? চলুন আপনাদের এই রহস্য উদ্ঘাতন করে ফেলি।
আমেরিকা বা ইউরোপ মহাদেশে যেকোনো কাজের মজুরী অত্যন্ত বেশি। যদি কোন কোম্পানীর নির্দিষ্ট প্রোগ্রাম তৈরী প্রয়োজন হয়, আর এজন্য যদি একজন প্রোগ্রামার নিয়োগ করতে হয় তাহলে বিপুল পরিমান টাকা গুনতে হয়। সে কাজটিই অন্য দেশের প্রোগ্রামার দিয়ে করিয়ে নিলে তুলনামুলক কম টাকায় করানো যায় এবং বর্তমান ইন্টারনেট ব্যবস্থায় খুব সহজে একাজ করা সম্ভব। আপনি প্রোগ্রামার, ডিজাইনার, এনিমেটর অথবা যাই হোন না কেন ইন্টারনেটের সাহায্যে তাদের সেই কাজ করতে পারেন, ঘরের বাইরে যাওয়ারও প্রয়োজন নেই।
এ থেকে বুঝতে পারছেন, আউটসোর্সিং হচ্ছে এক যায়গার কাজ অন্যজায়গায় থেকে করিয়ে নেয়া। এই কাজকে সহজ করার জন্য অনেক প্রতিষ্ঠান রয়েছে। তাদের ওয়ের সাইটে বিনামুল্যে সদস্য হওয়া যায়।
আপনি যত কাজ করবেন তখন তাদের ওয়েব সাইটে গিয়ে সেই তালিকা থেকে নিজের পছন্দমত কাজের জন্য আবেদন করতে পারবেন। যার কাজ তিনি আবেদনগুলি যাচাই করে যাকে যোগ্য মনে করবেন তাকে কাজটি দেবেন। আপনি সেই ব্যক্তি হলে কাজটি করে ইন্টারনেটের মাধ্যমেই তারকাছে পাঠিয়ে দিতে পারবেন। সাথে সাথে আপনার একাউন্টে কাজের পর্যাপ্ত অর্থ জমা হবে।
কিভাবে কাজ করতে পারবেনঃ
একটু আগে দুইধরনের কাজের কথা বলা হয়েছে, একটি কোম্পানীর, অপরটি ছোট কোম্পানী কিংবা ব্যক্তির। আউটসোসিং এর কাজ মুলত এই দুইধরনের। বড় কোম্পানীর বড় কাজ করার জন্য বড় প্রতিষ্ঠান প্রয়োজন। সেখানে আপনি একজন নিয়মিত ডিজাইনার হিসেবে নিয়োগ পেতে পারেন।
এই কাজের ক্ষেত্রে আপনাকে নিজেই যোগাযোগ করা, কাজ করা, অর্থ গ্রহন সবকিছু করতে হবে নিজেকেই। অবশ্য কয়েকজন একসাথে শুরু করে ক্রমাম্বয়ে বড় প্রোজেক্ট-এ কাজ করতে পারবেন।
এখানে আপনি নিজে নিজেও কাজ চালিয়ে যেতে পারবেন। চলুন এই বিষয়টা নিয়ে কথা যাকঃ
এক কথায়, কম্পিউটার ব্যবহার করে যাকিছু করা সম্ভব সবধরনের কাজই পাওয়া যায় এভাবে। গ্রাফিক ডিজাইন, ওয়েব পেজ তৈরী, ওয়েব পেজের কোন সমস্যার সমাধান থেকে শুরু করে এনিমেশন, ভিডিও এডিটিং কিংবা একেবারে সহজ কাজ। এই পেশায় কাজ যত সহজ অর্থের পরিমান তত কম, কাজ যত জটিল অর্থের পরিমান তত বেশি।
উদাহরনস্বরূপ বলা যায়, ওয়েব সাইটের জন্য ফটোশপে একটি ব্যানার বিজ্ঞাপন তৈরী করে যে পরিমান অর্থ পাবেন ফ্লাশ দিয়ে এনিমেটেড ব্যানার তৈরী করতে পারবেন। তার থেকে অনেক বেশি অর্থ। বাস্তব ধারনা পাওয়ার সবচেয়ে ভাল পথ হচ্ছে এ ধরনের ওয়েবসাইটে গিয়ে কাজের তালিকা দেখা।
আউটসোর্সিং কাজ করতে গেলে আপনাকে কি কি করতে হবেঃ
আউটসোর্সিং-এর ক্ষেত্রে আপনার জন্য ভাল সেটা আপনাকেই যাচাই করতে হবে। কোন বিষয়ে আপনি আগ্রহী, আপনি কোন কাজে দক্ষ, কোন কাজ সহজেই করে যেতে পারবেন এগুলি একমাত্র আপনিই জানতে পারেন। কিন্তু কোন কাজে অর্থ বেশি এটা বিচার করে সেই কাজ করতে না যাওয়াই ভাল। কিন্তু ভালো মানের ডিজাইনার হওয়ার জন্য এক ধরনের প্রতিভা প্রয়োজন, এনিমেটর হওয়ার জন্য আরেক ধরনের, ভাল ডিজাইনার হওয়ার জন্য আরেক ধরনের। কোন বিষয়ে আগ্রহি হলে সে বিষয়ে খোজ নিন, কিছুদিন চেষ্টা করুন, তারপর পর সিদ্ধান্ত নিন। এ বিষয়েও সত্যিকারের সাহায্য পাবেন এ ধরনের জব সাইটে। প্রতিটি কাজের বর্ননার সাথে কোন সফটওয়্যারে দক্ষতা থাকতে হবে তা উল্লেখ করা থাকে।
আপনি কতো উপার্জন করতে পারবেন?
উপার্জনের বিষয়টি পুরোপুরি আপনার কাজের ধরনের ওপর নির্ভর করে। অধিকাংশ কাজের হিসেব হয় ঘন্টা হিসেবে। অর্থাৎ আপনাকে হায়ার করা হবে। এতে করে আপনাকে প্রত্যেক ঘণ্টার নির্ধারিত পারিশ্রমিক দেওয়া হবে। গ্রাফিক ডিজাইনকে উদাহরন হিসেবে ধরলে মাসে অনায়াসে হাজার ডলার আয় করতে পারবেন। প্রোগ্রামার হলে অনেক বেশি।
কি কি প্রয়োজন এই কাজ করতে?
আউটসোর্সিং-এর কাজের ক্ষেত্রে আপনার মুল অস্ত্র হচ্ছে মেধা। কাজেই দামী যন্ত্রপাতি নিয়ে মাথা ঘামানোর প্রয়োজন খুব কমই পরে। কিন্তু কাজের ধরন অনুযায়ী অবশ্যই আপনার স্ক্যানার, গ্রাফিক ট্যাবলেট, দামী ক্যামেরা ইত্যাদি প্রয়োজন হতে পারে। এ ধরনের বিশেষ যন্ত্র বাদ দিলে আপনার প্রয়োজন বলতে আমি মনে করি একটি মোটামুটি ভালো মানের কম্পিউটার এবং ভাল ইন্টারনেট সংযোগ।
বর্তমানে যথেষ্ট ভাল কম্পিউটার পাওয়া যায়। আর ইন্টারনেট সংযোগের বিষয়ে বলা আসলে অর্থহীন। আসলে ইন্টারনেট হাতের নাগালেই পাওয়া যায়।
আপনাকে এখন শুধু সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়ে কাজ করা শুরু করে দিতে হবে।
আশা করি যারা আউটসোর্সিং-এর কাজ করতে চাচ্ছেন তাদের জন্য আমার আর্টিকেলটি অনেক উপকারে আসতে পারে।

No comments:

Pages